বাংলা নাম : বড় কৃষ্ণকালাচ
ইংরেজী নাম : Greater black krait
বৈজ্ঞানিক নাম : Bungarus niger
বিষের ধরন: নিউরোটক্সিন(নার্ভ বিষ)।
খাদ্য তালিকা- এদের প্রধান খাদ্য সাপ৷ এটি একটি মাংসাশী প্রাণী এবং এর খাদ্যতালিকায় আছে অন্যান্য ছোট ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, নিজের বা ভিন্ন প্রজাতির সাপ,, ইত্যাদি।এদের এই খাদ্যাভ্যাস মনুষ্য বসতিতে সাপ, ইঁদুর প্রভৃতি প্রাণীর অবাঞ্ছিত সংখ্যাবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এদের চোয়ালের গঠন বৈশিষ্ট্যের জন্য অর্থাৎ নীচের চোয়াল নমনীয় ও উপরের চোয়ালের সঙ্গে দৃঢ় সংযুক্ত না হওয়ার জন্য এরা নিজের আয়তনের তুলনায় অনেক বড় হা করতে পারে এবং নিজের পরিধির চেয়ে বড় মাপের প্রাণী অনায়াসে গিলে ফেলে। মুখনিঃসৃত বিষ এ সময় শিকারটিকে নির্জীব রাখতে সাহায্যে করে। অপ্রাপ্তবয়স্ক বা জুভেনাইল কৃষ্ণকালাচরা কীট-পতঙ্গ, মাকড়সা ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

অঞ্চল- দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এদেরকে বেশি দেখা যায়। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর রংপুর সহ উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় পাওয়া যায় । এছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পাওয়া যাচ্ছে এখন।
বর্ণনা- কুচকুচে কালো রঙ এবং পিঠের উপরে তুলনামূলক বড় হেক্সোগনাল (ষড়ভুজাকার) স্কেল দেখে এদেরকে চেনা যায় এবং lesser black krait(Bungarus lividus) থেকে আলাদা করা যায়।
বড় কৃষ্ণকালাচ অত্যন্ত ক্ষীপ্র এবং তীব্র বিষধর সাপ৷ এরা নিশাচর। ভয় পেলে কুন্ডলি পাকিয়ে মাথা নিচু করে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাপ্ত সাপগুলোর মধ্যে, এদেরকেই সবচেয়ে বিষধর হিসেবে ধরা হয়। এরা লম্বায় ৪.৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এদের আঁশ মসৃন এবং চকচকে। এরা মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত মেটিং করে, মেটিং এর কিছুদিন পর ডিম পাড়া শুরু করে। এরা মোট ৮-১০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।

চিকিৎসা- যদিও খুবই ক্ষিপ্র আর চঞ্চল সাপ, তবুও আঘাত বা ভয় না পেলে কামড় দেয়ার সম্ভাবনা কম। তবুও যদি কামড় দেয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ সদর হাসপাতাল অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে হবে।
লেখা: WSRTBD ফেসবুক পেজ
ছবি: Reza-Ul Karim Rakib, MD Sumon, WSRTBD
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।