বাংলা নাম : পদ্ম গোখরা
ইংরেজী নাম : Monocled Cobra
বৈজ্ঞানিক নাম : Naja kaouthia
আঞ্চলিক নাম- কালগোহমা, মাছুয়া আলদ, কাল কেউটে, ফানক, কালফানস ইত্যাদি।
বিষের ধরন- নিউরোটক্সিন। এর বিষের প্রভাবে নার্ভ ড্যামেজ হয়ে যায়।

বর্ননা – পদ্ম গোখরা ক্ষেপাটে স্বভাবের সাপ। রেগে গেলে ফণা প্রসস্থ করে ছোবল দিতে আসে। স্থানভেদে এদের রঙ ও গায়ের প্যাটার্ন ভিন্ন থাকে। মে/জুন মাসে এরা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, জুলাই/আগস্ট মাস পরে যায় ডিম পাড়তে পাড়তে, এরা একসাথে ৩০-৪০ টা পর্যন্ত ডিম দিতে পারে, এদের ডিমের চামড়া অনেক পাতলা ও নরম থাকে এবং একসাথে অনেকগুলো ডিম জট লাগানো থাকে ,ডিমে থেকে প্রায় ৫৫-৬০-৬৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে বাচ্চা ফুটতে।
খাদ্য তালিকা-এরা ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী ইঁদুর,ব্যাঙ,গিরগিটি খায়। এছাড়াও মাছ, ছোট পাখি ও পাখির ডিম, অন্যান্য ছোট সাপ খেয়ে থাকে।
অঞ্চল- বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় ই পাওয়া যায় এদের। খুপড়ি জায়গায় ও শুকনো জায়গায় এরা বসবাস করে। ফসলের মাঠ, বিল-বাওড়, বাড়ির পাশের ঝোপ-জঙ্গল, পুকুর বা যেকোনো জলাশয়ের আশেপাশে বসবাস করতে পছন্দ করে। ইঁদুর, ব্যং, পাখি, লিজার্ড এসবই পদ্ম গোখরার খাদ্য।
বর্ষা কালে এদের স্বাভাবিক আবাসস্থলে পানি ঢুকলে এবং ডিম পাড়ার জন্য উচু যায়গা না পেলে এরা মানুষের বাড়িতে ঢুকতে পারে।

বিষক্রিয়ার লক্ষন –
পদ্ম গোখরা কাউকে কামড় দিলে কামড়ানোর ঘন্টা দুয়েক পর থেকে রোগীর ঘুম ঘুম ভাব হবে, চোখ বুজে আসতে শুরু করবে, আক্রান্ত স্থান ও তার আশপাশ ফুলে উঠবে, বমি ভাব হবে, জ্বর আসতে পারে, শেষমেষ রোগী কাউকে চিনতে পারবে না, এমনকি আপন মা-বাবাকেও নয়। তবে এদের ৮০-৮৫ শতাংশ ড্রাই বাইট হয়।
চিকিৎসা- এদের কামড়ে ৪ ঘন্টার মত সময় পাওয়া যায়। যত দ্রুত সম্ভব সদর হাসপাতালে যেয়ে এন্টিভেনম নিয়ে চিকিৎসা করা। না হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতে পারে। সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব আশেপাশের হাসপাতালে যাওয়া।
লেখা: WSRTBD ফেসবুক পেজ
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।