বাংলা নাম : জলপাইরঙা মেটে সাপ
ইংরেজী নাম : Olive Keelback Snake
বৈজ্ঞানিক নাম : Atretium schistosum
বিষের ধরণ: সম্পূর্ণ নির্বিষ
জলপাইরঙা মেটে সাপ Colubridae পরিবারের। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা জুড়ে এদের বিস্তৃতি।
আবাসস্থল: জলাশয় এবং এর আশেপাশের ঝোপঝাড়, ধানক্ষেতে এদের দেখতে পাওয়া যায়। গ্রীষ্ম ঋতু এদের নিদ্রাকাল।

দৈহিক বৈশিষ্ট্য: মাথা ঘাড় থেকে সামান্য চওড়া। চোখ গোলাকার। নাকের ছিদ্র লম্বালম্বি ভাবে চেরা৷ দেহ উজ্জ্বল জলপাই রঙের হয়ে থাকে। অনেক সময় শরীরের দুই পাশে লালচে দাগ থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রঙ উজ্বল হয়ে থাকে। পেট হলদেটে সাদা বা কমলা রঙের। লেজ সুচালো।
এদের দেহ কিছুটা চ্যাপ্টা হয়। অর্থাৎ উপর থেকে দেখলে মাথা, লেজ সরু এবং মাঝখানের অংশটা চ্যাপ্টা দেখায়।
শরীরের আঁশগুলো অমসৃণ (Kelled scales)।
জলপাইরঙা মেটে সাপ সাধারণত দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা হয়।
এরা diurnal অর্থাৎ দিনে চলাচল এবং শিকার করে। তবে এদের রাতেও দেখতে পাওয়া যায়। Aquatic অর্থাৎ বেশিরভাগ সময় এরা পানিতে থাকে।
খাদ্যাভ্যাস: যেহেতু পানির সাপ, এদের প্রধান খাবার মাছ, কোলাব্যাঙ এবং কাঁকড়া। এছাড়া মশার লার্ভাও খেয়ে থাকে। পাশাপাশি ছোট অন্যান্য সরীসৃপও শিকার করে থাকে। এরা Side-stroke পদ্ধতিতে শিকার করে।

স্বভাব: Olive keelback ধীরগতিসম্পন্ন সাপ। খুবই শান্ত। সহজে কামড়ায় না। ভয় পেলে শরীর ফুলিয়ে নিজেকে বড় দেখায় এবং সুযোগ পেলে পালিয়ে যায়।
বংশবিস্তার: এরা oviparous, অর্থাৎ, ডিম পারে, এবং ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বর্ষাকাল এদের প্রজনন ঋতু। সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ১০ থেকে ৩২টি ডিম গুচ্ছাকারে পেড়ে থাকে। ডিমগুলি সাদা, নরম। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ মিমি দৈর্ঘ্যের হয়। নতুন পরিস্ফূটিত বাচ্চা সাপগুলি দৈর্ঘ্যে ১৬.৬ থেকে ১৭.৫ সেমি হয়ে থাকে।
লেখা: ফেরদৌস আলম
ছবি: Rajat Tirpude ও সংগৃহীত।
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।