বাংলা নাম : খৈয়া গোখরা
ইংরেজী নাম : Spectacled Cobra
বৈজ্ঞানিক নাম : Naja naja
আঞ্চলিক নাম- গোমা, দুধিয়া গোমা, দুধ গহমা, আলদ, খরিস গোখরা, খৈয়া গোখরা, জাত সাপ, জাতি সাপ, খৈয়া জাইত, ঝৌড়া সাপ, গুক্কু সাপ, খয়া গুক্কু।
খৈয়া গোখরার ফণার পিছনে ইউ বা ভি আকৃতির হুডমার্ক থাকে যা দেখে সহজে চেনা যায়। যাকে বলা হয় ডাটি ছাড়া চশমা।
বিষের ধরন: Synaptic Neurotoxin ও Cardiotoxin ( সিনাপটিক নিউরোটক্সিন ও কার্ডিওটোক্সিন ) । এদের বিষে hyaluronidase এনজাইম থাকায় লাইসিস (Lysis) ঘটে ফলে বিষ দ্রুত ছরিয়ে পরে। এর বিষ স্নায়ুর সিনাপটিক ফাঁকগুলিতে কাজ করে ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় এবং শ্বাসকস্ট হয়। তবে অধিকাংশ সময় এরা ড্রাই বাইট করে।

খাদ্য তালিকা: পাখি, ইদুর, ডিম প্রধান খাদ্য।
বিচরন বা আবাসস্থল: খুপরি জায়গায় ও শুকনো জায়গায় বাস করে। বিভিন্ন ফাকফোকড়ে, গাছের কোটরে, স্যাঁতসেঁতে ডোবা, মাটির গর্ত, ময়লার স্তূপ, গোয়াল ঘর এসব জায়গায় দেখা যায়।
অঞ্চল: বাংলাদেশপর উত্তর বঙ্গে এদের বিচরন টা একটু বেশি,, ভারত, পাকিস্থান,শ্রীলংকা ও নেপাল জুড়ে এদের পাওয়া যায়।
এপ্রিল /মে মাসে এরা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, তখন জুন/ জুলাই মাস পরে যায় ডিম পাড়তে পাড়তে, এরা একসাথে ১৫-৩০ টা পর্যন্ত ডিম দিতে পারে, এদের ডিমের চামড়া অনেক পাতলা ও নরম থাকে এবং একসাথে অনেকগুলো ডিম জট লাগানো থাকে ,ডিমে তা দেয় প্রায় ৫৫-৬০-৬৫ দিন পর্যন্ত, প্রায় দুমাস সময় লাগে বাচ্চা ফুটতে।

কামড়ের লক্ষন : নিউরোফিজিক্যাল। খৈয়া গোখরার কামড়ের প্রতিক্রিয়া ৭ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে দেখা যায়। উপসর্গ হচ্ছে খিঁচুনি, বমি, তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, চেতনা হারানো, চোখের দৃষ্টি বিভ্রান্ত, পেশি-চোয়াল–ঘাড় অবশ, চোখের পেশি কাজ না করা, গিলতে না পারা, লালা ঝরা, নাকি স্বরে কথা বলা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
চিকিৎসা : দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে এন্টিভেনমের ব্যবস্থা করা। অন্যথায় প্রায় ৪-৬ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হয়।
কোন কবিরাজের পক্ষেও এই সাপের কাটা মানুষের চিকিৎসা করা অসম্ভব।
লেখা: ফুয়াদ আল মাসুদ অপু
ছবি: Jahidul Islam, Shohidul islam ও সংগৃহীত।
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।