বাংলা নাম : দাগি লেজা সবুজ বোড়া
ইংরেজী নাম : Spot-tailed Pit Viper
বৈজ্ঞানিক নাম : Trimeresurus erythrurus
অঞ্চল ভেদে এদের অনেক জায়গায় গালটোবা সাপ,কচুয়া সাপ,গেছো বোড়া,কচুপাতা সাপ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।
দাগি লেজা সবুজ বোড়ার বিষের ধরণ হেমোটক্সিন (Hemotoxin) যা রক্তের সেল গুলো ভেঙ্গে জমাট বাধতে দেয় না। এদের বিষের প্রভাবে কামড়ের স্থানে ফুলে যায়, তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয়, আক্রান্ত জায়গায় ফোস্কার মতো দাগ পড়ে যায়। এদের বিষের প্রভাবে মানুষ মরার রেকর্ড না থাকলেও, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে অঙ্গহানি হবার সম্ভাবনা থাকে।

এদের মাথা ত্রিকোনাকৃতির ও চ্যাপ্টা। মাথার উভয় পাশে পিট নামক ছিদ্র থাকে। মাথা থেকে ঘার চিকন। পিট ভাইপার নিশাচর গাছের সাপ। এরা সচরাচর গাছে থাকে। দেশের পাহাড়ি বনভূমি গুলোতে এদের বেশি পাওয়া যায়৷ একটা পিট ভাইপার সর্বোচ্চ ২-২.৫ ফিট লম্বা হতে পারে। এভারেজ ২ ফিট এর কাছাকাছি হয়ে থাকে। এরা এপ্রিল-মে মাসে প্রজনন করে, ৫ মাস পর বাচ্চা প্রসব করে। পিট ভাইপাররা ডিম পাড়েনা, তারা সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে থাকে৷ আর এজন্য ovoviviparous বলা হয়ে থাকে। কিন্তু T. Popeiorum হলো viviparous.
এরা একসাথে ১০ টা থেকে ২০ টা বাচ্চা প্রসব করতে সক্ষম, যাদের সাইজ ৮-১০ ইঞ্চি হয়ে থাকে। পিট ভাইপারের দাঁত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিষদাঁত৷ এদের দাঁত তুলনামুলক লম্বা এবং মোটা হয়ে থাকে৷
এরা বৃক্ষবাসী সাপ। এদের শরীরের বর্ণের সাথে মিল রেখে গাছের সাথে ক্যামফ্লোজ করে লুকিয়ে থাকে।এরা ঝোপঝাড় , লতাপাতা ঘেরা জঙ্গলে অবস্থান করে থাকে।শিকারের খোঁজে এরা এক জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে থাকে।
এর নিশাচর প্রজাতির সাপ। দিনের তুলনায় রাতেই বেশি সক্রিয় থাকে।

দেশে এ যাবত ৪০ জন রোগীর এধরনের সবুজ বোড়া সাপের কামড় খাওয়ার কাগজ কলমে রেকর্ড আছে। যার মধ্যে একজন ও প্রাণ হারায়নি।
বিষধর হলেও ততটা মারাত্বক বিষধর না হওয়ায় সময় মত চিকিৎসা করালে সহজেই সুস্থ হওয়া যায়।
লেখা: Koushik Datta
ছবি: Reza-Ul Karim Rakib, Md Naimul Islam Niloy, Hasan Mahmud Arafat
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।