বাংলা নাম : ওয়াল’স ক্রেইট
ইংরেজী নাম : Wall’s krait
বৈজ্ঞানিক নাম : Bungarus walli
দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম বিষধর সাপ ওয়াল’স ক্রেইট / Wall’s Krait (Bungarus walli)
আঞ্চলিক ভাবে এরা ভীমরাজ, কালাশ, কালি দাঁড়াশ,তে-শিরা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
পূর্বে এটিকে সিন্ধু কালাচ বা Sind Krait এর উপপ্রজাতি মনে করা হলেও, বর্তমানে এটা আলাদা প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃত।

বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পশ্চীমাঞ্চল ছাড়াও নেপাল এবং মায়ানমারে এদের পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এদের বিস্তৃতি রয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এদের প্রাপ্যতা হার বেশী থাকলেও বর্তমানে প্রায় সারা দেশেই এদের কম-বেশী দেখা যাচ্ছে।
মূলত নিউরোটোক্সিন বিষধারী এই সাপ গুলো নিশাচর প্রকৃতির হওয়ায়, দিনের বেলা এদের দেখা যায় না।রাতেই শিকারের খোঁজে বের হয় এবং তখনই মানুষের সাথে সাক্ষাৎ বেশী ঘটে । সাধারণত পুকুর বা ডোবার আসেপাশে থাকতেই এরা বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
অনেক সময় মানুষের বাসা-বাড়িতেও খাবারের সন্ধানে এরা ঢুকে পরে। Common Krait বা পাতি কালাচের মত এদেরও মানুষের বিছানায় পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
এদের বিষ অন্যান্য ক্রেইট প্রজাতির সাপের তুলনায় কিছুটা দ্রুত কার্যকরী এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক। রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে অসাবধানতার কারণে অনেকেই এদের কামড়ের শিকার হন। বাংলাদেশে অধিক দংশনকারী সাপগুলোর মধ্যে Wall’s Krait একটি।এদের কামড়ে মৃত্যুহারও তুলনামূলক বেশী।

ভুলবশত অনেকে বিষধর Wall’s Krait কে নির্বিষ দাঁড়াশ (Indian Rat Snake) সাপের সাথে গুলিয়ে ফেলে। এর ফলাফলও হয় ভয়াবহ।
সাম্প্রতিক সময়ে এক যুবক Wall’s Krait কে নির্বিষ দাঁড়াশ ভেবে ধরতে গিয়ে, দংশিত হয়ে মারা যায়।
সাপের কামড় এড়িয়ে চলতে, বাড়ির আসপাশ পরিষ্কার রাখুন, গর্ত থাকলে ভরাট করে দিন, রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে টর্চ লাইট ব্যাবহার করুন, রাতে শোবার আগে মশারি ব্যাহার করুন।
লেখা: Pritom Sur Roy
ছবি: Abhimanyu Karjee, Parag Shinde, Fardoush Alam
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।