বাংলা নাম : নোনাবোড়া
ইংরেজী নাম : Dog-faced water snake
বৈজ্ঞানিক নাম : Cerberus rynchops
প্রচলিত নামঃ- অঞ্চলভেদে কুকুরমুখো নোনাবোরা,জলবোরা ইত্যাদি নামে ডাকা হয় ।
বিষের ধরনঃ- মৃদু বিষধর, ( নিউরোটক্সিন)।
খাদ্য তালিকাঃ- কুঁচে মাছ, ছোট মাছ,ব্যাঙ,কাঁকড়া,চিংড়ি ও শামুক এদের প্রধান খাবার।

বাসস্থান ও অঞ্চলঃ- নোনাবোড়া মূলত জলাশয়ের কাঁদা জাতীয় স্থানে থাকতে পছন্দ করে এছাড়া সমুদ্রের আশে পাশে এবং এর উপরে থাকতে পছন্দ করে। শীতকালে বিভিন্ন ডাল পালার উপরে উঠে রোদ পোহাতে ও দেখা যায়। এরা সমুদ্র উপকূলীয় নদী,ম্যানগ্রোভ বনের প্লাবিত অঞ্চল,কোরাল দ্বিপ, দেশের দক্ষিণে গরান বন,সমুদ্র উপকুল ও মোহনা,আবাদি জমি,কাদামাটি যুক্ত পরিবেশ, জোয়ার ভাটার নদী ইত্যাদিতে থাকে। বাংলাদেশ ,ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া দেশে এর বিচরন রয়েছে।
বর্ণনাঃ- এটি Homalopsidae পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। স্থুলকায় সাপ যার উপরের চোয়াল,নাসারন্ধ্র ও চোখ উপরের দিকে ওঠানো,ফলে কুকুর মুখো দেখায়। এরা লম্বায় সচরাচর ২-৩ ফুট হয় তবে সর্বোচ্চ ৪ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। দেহের রং ধূসর বা বাদামি, পিঠে গাঢ় বাদামি বা কালো ফোটার দাগ দেখা যায়। দেহের নিচের অংশ কালো ছোপযুক্ত । মাথা ঘাড়ের তুলনায় চওড়া। মাথার দুপাশ দিয়ে গাঢ় রেখা চলে গেছে। এরা নিশাচর ও দিবাচর। অলস, তবে সাঁতার কাটতে ও কাদামাটিতে চলতে পারে। এরা viviparous অর্থাৎ মা সাপ সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে । ৪-৭ মাস গর্ভাবস্থায় থেকে ২-১২ টি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করতে পারে। এরা বাচ্চা অবস্থায় ১৭-২৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয় । এর ডর্সাল হলো keeled scale অর্থাৎ অমসৃণ আশঁযুক্ত।

চিকিৎসাঃ- নোনাবোড়া মৃদু বিষধর যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কামড়ালে ভয়ের কিছু নেই৷ ডেটল, স্যাভলন বা অন্যকোনো এন্টিসেপ্টিক দিয়ে পরিষ্কার করুন ৷ বাড়তি সুরক্ষার জন্য, টিটেনাস টিকা নিতে পারেন।
লেখা: সহিদুল ও নিলয়।
ছবি: সংগৃহীত।
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।