বাংলা নাম : লাল ঘাড় ঢোড়া
ইংরেজী নাম : Heller’s Red-necked keelback
বৈজ্ঞানিক নাম : Rhabdophis helleri
আঞ্চলিক নাম:- হরিণ জৌরো
আবাসস্থল/প্রাপ্তিস্থান:-বাংলাদেরশে চট্টগ্রাম, সিলেট,খাগড়াছড়ি,
মৌলভীবাজার বান্দরবান, রাঙামাটি, নেত্রকোনা, ফেঞ্চুগঞ্জ এ পাওয়া যায়।এছাড়াও ইন্ডিয়া,ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, চীন, লাওস, শবে কম্বোডিয়া এসব দেশে।
মানুষের বাসস্থানের আশেপাশে, নদীর তীরে এবং পুকুরে, জলের কাছাকাছি, চাষকৃত এলাকা, বিশেষ করে ধানের ক্ষেতে পাওয়া যায়।

বিষের ধরণ: বিষাক্ত এবং বিষধর, এদের বিষ মূলত নেফ্রোটক্সিন, এরা রেয়ার ফ্যাং বিশিষ্ট সাপ, এদের দাত পেছনের দিকে থাকে। আর ঘাঁড়ের লাল অংশকে ধরা হয় এর বিষাক্ত স্থান হিসেবে। এ বিষ উৎপন্ন হয় মূলত বিষাক্ত ব্যাঙ আহারের ফলে
তবে বাংলাদেশেরে প্রেক্ষাপটে এর ঘাঁড়ের বিষের তেমন কোন বিষক্রিয়ার প্রভাব দেখা যায় নি।
এদের বিষগ্রন্থির নাম ‘ডুভেরনয়জ গ্ল্যান্ড।’
পয়জন যেখানে জমা থাকে তাকে বলা হয় ‘নিউচাল গ্ল্যান্ড।’
নেফ্রোটক্সিন বিষের প্রভাব কিডনি বিকাল করে দেয়।
স্বভাব: দিবাচর সাপ।খাবারের সন্ধানে এদের দিনের বেলায় দেখতে পাওয়া যায়।
চেনার উপায়:- লাল ঘাড় ঢোড়া সাপের শরীরের কালো এবং হলুদ জালিয়ার প্যাটার্ন থাকে, ঘাড়ের কিছুটা অংশ লাল, জুভেনাইল অবস্থায় এদের ঘাড়ে কালো একটা দাগ লক্ষ্য করা যায় যা বেড়ে উঠার সাথে সাথে সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়।

বিহেভিয়ার: সেমি-এগ্রেসিভ, শান্ত স্বভাবে, তবে রেগে গেলে কোবরার মিমিক্রি করতে পারে।
প্রজনন:- অভিপ্যারস প্রকৃতির সাপ।মা সাপ এপ্রিল-মে মাসে প্রায় ১৪টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে, জুন-জুলাই এর দিকে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আসে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কম বেশি হতে পারে। এরা সাধারণত ৩-৩.৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
লাল ঘাড় ঢোড়া সাপের কামড়ের পর রোগীর দেহে যেসব লক্ষন দেখা যাবে:- কামড়ের জায়গায় ফুলে যাওয়া,মাথা ঘোরা, রেনাল ড্যামেজ, কামড়ের স্থানের আশেপাশে ব্যাথা, ফোস্কা পড়া, রক্তপাত, নেক্রোসিস, কোগ্যুলোপ্যাথিক রিয়েকশন, নেফ্রোটক্সিন বিষ তবে আরো যৌগ মিশ্রিত থাকে।
লেখা: সোনিয়া আকতার।
ছবি: Sumit Nath ও সংগৃহীত।
সাপ সম্পর্কে বিষদে জানতে ও নিকটবর্তী রেসকিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অন্যান্য সাপ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।